ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ইবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ 

ইবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১১:৩৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১১:৪৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগ কর্মীরা, ইনসেটে গুরুতর আহত একজন- একুশে টেলিভিশন

দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগ কর্মীরা, ইনসেটে গুরুতর আহত একজন- একুশে টেলিভিশন

জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ’র (সিনিয়ন ও জুনিয়র) বিষয়ে নিয়ে এক কোন্দলকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে জিয়াউর রহমান হলের পাশ্ববর্তী এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিপণন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে ‘বন্ধুবিশেষ সম্মোধন’ করে ডাক দেয় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামাল। পরে বিষয়টিতে দুঃখ প্রকাশ করলে কামালকে বকাঝকা করে জেবিয়ার। তিনি কামালকে পরে দেখা করতে বলেন। এরপর কামাল তার সহপাঠীদের নিয়ে জিয়াউর রহমান হলে জেবিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার বাঁধে। এক পর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করেন কামালসহ তার সহপাঠীরা। 

ঘটনার শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে কামাল অবস্থান করছে জানতে পেরে জেবিয়ার তার সমর্থনে ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করেন।  এ সময় কামাল কক্ষ থেকে বেরিয়ে না আসলে দরজায় লাথি ও ইট-পাটকেল মারতে থাকেন। পরে তারা হল থেকে বের হয়ে জিয়া মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় কামালের সমর্থনে জিয়া হলসহ অন্য হল থেকে আসা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জেবিয়ারের পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায় বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান। 

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উপস্থিত থাকলেও তিনি নিলিপ্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি চলে গেলেও সংঘর্ষ শেষে ফিরে আসেন। 

সংঘর্ষে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল চাকমা গুরুতর আহত হন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

সংঘর্ষের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘প্রথমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পাই সিনিয়র নেতারা সমাধানের চেষ্টা করছে। পরে তারা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়।’

এআই/এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি